Close

    ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের ই-উদ্যোগ

    উচ্চ আদালত এবং রাজ্যের অধস্তন আদালতে উপলব্ধ সুবিধা এবং প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ:-

  • ১.আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি)/ সি.এস.আর (কম্পিউটার সার্ভার রুম): উচ্চ আদালতের রেজিস্ট্রি এবং ১৬টি কোর্ট সাইটে (আগরতলা, বিশালগড়, সোনামুরা, খোয়াই, উদয়পুর, অমরপুর, বিলোনিয়া, সাবরুম, ডিজে কৈলাশহর, সিজেএম কৈলাশহর, ধর্মনগর, কাঞ্চনপুর, আমবাসা, লংথরাই ভ্যালি, গন্ডাচেরা এবং কমলপুর) আইসিটি সম্প্রসারিত করা হয়েছে এবং সিএসআর সম্পূর্ণরূপে চালু রয়েছে।

  • ২.হার্ডওয়্যার স্থাপন ও ইনস্টলেশন: উচ্চ আদালত রেজিস্ট্রিতে এবং সমস্ত ১৬টি সাইটে, সার্ভার স্থাপন ও ইনস্টলেশন (রেক সার্ভার ২টি, ই-কোর্ট প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে পেডেস্টাল সার্ভার ৮টি এবং রেক সার্ভার ১০টি, ই-কোর্ট প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে পেডেস্টাল সার্ভার ৯টি), হার্ডওয়্যার স্থাপন ও ইনস্টলেশন (ডেস্কটপ পিসি) ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ই-কমিটির নির্দেশিকা অনুসারে সমস্ত কার্যকরী আদালত কক্ষের জন্য সম্পন্ন হয়েছে।

  • ৩.বিচার বিভাগীয় আধিকারিকদের জন্য ল্যাপটপ ও প্রিন্টার: গত ৫ বছরে উচ্চ আদালত পঁচানব্বইটি (৯৫) ল্যাপটপ এবং সমপরিমাণ প্রিন্টার সংগ্রহ করেছে এবং ত্রিপুরার বিচার বিভাগীয় আধিকারিকদের মধ্যে বিতরণ করেছে। ২০২০ সালে উচ্চ আদালত সরকারি ই-মার্কেট প্লেস (জি.ই.এম) থেকে নবনিযুক্ত বিচার বিভাগীয় আধিকারিকদের জন্য ২৪টি ল্যাপটপ এবং প্রিন্টার সংগ্রহ করেছে এবং এগুলি ত্রিপুরা জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের মধ্যে বিতরণ করেছে। চলতি বছরে উচ্চ আদালত সরকারি ই-মার্কেটপ্লেসে বিচার বিভাগীয় আধিকারিকদের জন্য ৫ বছরের পুরনো ল্যাপটপ ও প্রিন্টারগুলি প্রতিস্থাপন করে ৮১টি নতুন ল্যাপটপ এবং সমান সংখ্যক প্রিন্টার কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। এই সমস্ত প্রিন্টারগুলি প্রাপ্ত হয়েছে এবং ৫৭টি নতুন প্রিন্টারের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট বিচার বিভাগীয় আধিকারিকের ৫ বছরের পুরনো প্রিন্টার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। আর ল্যাপটপ কেনার কাজ খুব শীঘ্রই শেষ করা হবে।

  • ৪. লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (ল্যান) স্থাপন ও ইনস্টলেশন: ই-কোর্ট প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের অধীনে ত্রিপুরার ১৬টি সিসি-তে ল্যান উপকরণ স্থাপন ও বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।

  • ৫.ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (ডব্লিউএএন) সংযোগ এবং শুধু মাত্র এর জন্য ব্যবহৃত ইন্টারনেট: ১৬টি আদালতকে সফলভাবে সোয়ান পিওপি-র সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ৮টি জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরের জন্য ১৬ এম. বি. পি. এস লিজ লাইন এবং ৮টি এস. ডি. জে. এম আদালত চত্বরের জন্য বি. এস. এন. এল এম. পি. এল. এস ভিপিএন সার্কিটের ০৮ এম. বি. পি. এস লিজ লাইন সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা বিশেষভাবে জেলা আদালত ও জেলা কারাগারের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স পরিচালনার জন্য এবং স্থানীয় সার্ভার থেকে এন. জে. ডি. জি (ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড) সার্ভারে আদালতের তথ্য প্রেরণ করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।

  • ৬. জেলা আদালতগুলির জন্য ওয়েবসাইট: সমস্ত জেলা আদালতেরগুলির জন্য ড্রুপাল ভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলি কাজ করছে। প্রতিদিনের আদেশ, রায়, বিজ্ঞপ্তি, বিচারকদের তথ্য, সর্বশেষ ঘোষণা ইত্যাদির খবরাখবর নিয়মিত প্রদান করা হয়। ৩(তিনটি) নতুন ট্যাব যথা, মাসিক বিবৃতি, দাখিল ও নিষ্পত্তির বিবৃতি, মুক্ত অক্ষরে রায় অনুসন্ধানের প্রক্রিয়াকে জেলা আদালতগুলির ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে যাতে করে মাসিক বিচারাধীন মামলার তথ্য, নিষ্পত্তির বিবৃতি এবং রায় অনুসন্ধানের প্রক্রিয়াকে আপলোড করা যায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের মেনুর অধীনে। খুব শীঘ্রই, সমস্ত জেলা আদালতের ওয়েবসাইট S3WAAS (এস৩ডব্লিউএএএস) প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরিত হবে।

  • ৭. আইনজীবী এবং মামলাকারীদের কাছে এসএমএস পাঠানো: উচ্চ আদালতের পাশাপাশি ত্রিপুরার সমস্ত জেলা আদালতগুলিতে সফলভাবে এসএমএস সুবিধা চালু করা হয়েছে। মামলাকারী এবং আইনজীবীরা তাদের নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে এসএমএস পরিষেবার মাধ্যমে তাদের মামলা সংক্রান্ত দৈনিক খবরাখবর(যেমন মামলার অবস্থান, মামলার দৈনিক কার্যক্রম ইত্যাদি)পেতে পারেন। ত্রিপুরার উচ্চ আদালত, টেলিকম কমার্শিয়াল কমিউনিকেশনস কাস্টমার্স প্রেফারেন্স রেগুলেশনস, ২০১৮(TCCCPR, ২০১৮) অনুসারে AIRTEL DLT পোর্টালের অধীনে এসএমএস হেডার এবং প্রেরক আইডি নিবন্ধন করেছে যার জন্য সম্প্রতি টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া(TRAI) উচ্চ আদালত সিআইএস(কেস ইনফরমেশন সিস্টেম) এবং জেলা আদালত সিআইএস (কেস ইনফরমেশন সিস্টেম) থেকে পাঠানো পরিষেবা বার্তাগুলিতে এসএমএস প্রতি@ ০.০৫ টাকা পর্যন্ত মূল্যের ছাড় অনুমোদন করেছে।

  • ৮. ভিডিও কনফারেন্সিং এর জন্য সরঞ্জাম বিলি এবং স্থাপন করা: ত্রিপুরার উচ্চ আদালত ই -কোর্ট প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের অধীনে এবং ২০১৭- ১৮ আর্থিক বছরে, ত্রিপুরার জেলা বিচার বিভাগের সমস্ত আদালত এবং সমস্ত কারাগারগুলির জন্যও ভিসি সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছে। অতি সম্প্রতি, জেলা বিচার বিভাগে সক্রিয় সমস্ত আদালতগুলিতে ভিসি সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। ত্রিপুরা জুডিশিয়েল অ্যাকাডেমিতেও ভিসি সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই, সমস্ত আদালতগুলিতে মাইক এবং ক্যামেরা সহ অতিরিক্ত কম্পিউটার স্থাপন করে মামলাকারী/আইনজীবীদের ব্যবহার উপযোগী ভিসি কক্ষ সজ্জিত করা হবে।

  • ৯. ডিজেল চালিত জেনারেটর(ডিজি)সেট: ডিজি সেট রাজ্যের সমস্ত ১৬টি সিসিতে পাওয়া যায় এবং ১টি ডিজি সেট টিজেএতে(TJA) পাওয়া যায়। ই-কোর্ট প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৬টি ডিজি সেট সরবরাহ করা হয়েছে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ই-কোর্ট প্রকল্পে ১১টি ডিজি সেট সরবরাহ করা হয়েছে।

  • ১০. কারিগরি মানবশক্তি(সিনিয়র সিস্টেম অফিসার/সিস্টেম অফিসার/সিস্টেম অ্যাসিস্ট্যান্ট): ত্রিপুরার উচ্চ আদালত তার ই-কোর্ট পরিষেবার অধীনে সিস্টেম অফিসার এবং সিস্টেম অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে এবং বর্তমানে সমস্ত শূন্যপদ পূরণ করা হয়েছে। সফ্টওয়্যার বিকাশের জন্য ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের সেন্ট্রাল প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটরের (কেন্দ্রীয় প্রকল্প সমন্বয়সাধক) অফিসে এনআইসিএসআই(NICSI) থেকে এক বছরের মেয়াদে একজন চুক্তিভিত্তিক সিনিয়র সফ্টওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট ইঞ্জিনীয়ার রয়েছেন।

  • ১১. কেস রেকর্ডের স্ক্যানিং ও ডিজিটাইজ করা: খুব সম্প্রতি উচ্চ আদালত রাজ্য সরকারের কাছ থেকে মামলার নথিগুলির স্ক্যানিং এবং ডিজিটাইজেশনের জন্য তহবিল পেয়েছে এবং উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ডিজিটাইজেশন পরিষেবা প্রদানকারীর নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। উচ্চ আদালতে শুধুমাত্র স্ক্যানিং এবং ডিজিটাইজেশনের কাজে ব্যবহার্য একটি কক্ষ তৈরী করা হয়েছে যা রাজ্য পূর্ত বিভাগ দ্বারা বসানো একটি সুইং ব্যারিয়ার সিস্টেম সংযুক্ত অটোমেশন দরজা এবং মুখাবয়ব শনাক্তকরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে সজ্জিত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই উচ্চ আদালত ও জেলা আদালতগুলির বিচার বিভাগীয় নথিগুলির ডিজিটাইজেশনের কাজ শুরু হবে। রেজিস্ট্রির জন্য এবং সেইসাথে এই উদ্দেশ্যে নির্বাচিত আদালতগুলির জন্য উচ্চ গতির স্ক্যানারGeM-এর মাধ্যমে সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং বিতরণের কাজটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • ১২. সিপিসি ও নোডাল আধিকারিকদের নিয়োগ এবং তাদের ভূমিকা: ই-কোর্ট প্রকল্প সম্পর্কিত কার্যক্রম যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য TJS-এর অফিসারদের মধ্যে থেকে উচ্চ আদালতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প সমন্বয়কারী(সিপিসি) এবং ১৬ (ষোল)টি কোর্টের জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে ।

  • ১৩. আদালতের অবস্থান মোবাইল অ্যাপের অগ্রগতি: ই-কমিটি প্রদত্ত আদালতের অবস্থান মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যারটি ত্রিপুরায় পরীক্ষা করা হয় এবং দেখা যায় যে অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যারটি কাজ করছে।

  • ১৪. কিয়স্ক : ই-কোর্ট প্রকল্পের ২য় পর্যায়ে সমস্ত ১৬টি সিসিতে কিওস্ক মেশিন স্থাপন করা হয়েছে যার মাধ্যমে আইনজীবী, আইনজীবী ক্লার্ক, মামলাকারী বা আদালতের কার্যধারার সাথে যুক্ত কোনো ব্যক্তি আদালতের কার্য তালিকা, পরবর্তী তারিখ এবং আদেশ বা রায় সহ মামলার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেন।

  • ১৫. ডিজিটাল স্বাক্ষর শংসাপত্র: উচ্চ আদালত ত্রিপুরার সমস্ত বিচার বিভাগীয় আধিকারিকদের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণীর ডিজিটাল স্বাক্ষর শংসাপত্র(DSC) চিহ্ন সংগ্রহ করেছে ৷ উচ্চ আদালত ১লা ডিসেম্বর, ২০২০ সাল থেকে ত্রিপুরার সমস্ত জেলা ও দায়রা বিচারককে পরীক্ষামূলকভাবে ডিএসসি চিহ্ন ব্যবহার করে ডিজিটালভাবে রায়, চূড়ান্ত আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, চিঠিপত্র ইত্যাদিতে স্বাক্ষর করার নির্দেশ দিয়েছে। যেহেতু ডিএসসি-২এর ব্যবহার জানুয়ারী ২০২১ থেকে বন্ধ করা হয়েছে তাই ডিএসসি-৩এর চিহ্ন সংগ্রহ এখন প্রক্রিয়াধীন।

  • ১৬. ডিসপ্লে বোর্ড মনিটর: ১৬টি সিসির সমস্ত আদালতসমূহ ও ত্রিপুরা উচ্চ আদালত চলাকালীন ডিসপ্লে বোর্ড মনিটর আদালতের মামলাগুলিকে প্রদর্শন করে। উচ্চ আদালতের ডিসপ্লে বোর্ডে স্ক্রোলিং বার্তা চালু করা হয়েছে।

  • ১৭. উচ্চ আদালত ডিসপ্লে বোর্ড মোবাইল অ্যাপ (অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ) বাস্তবায়ন: এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ব্যবহার করে যে কেউ তার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যে কোনো জায়গা থেকে উচ্চ আদালতে মামলার বর্তমান পরিস্থিতি দেখে নিতে পারবেন।

  • ১৮.JustIS অ্যাপের (অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ) প্রচলন ও ডিজিটাল আদালত পরিচালনার সরঞ্জাম : JustIS মোবাইল অ্যাপটি (অ্যান্ড্রয়েড) হল ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের ই-কমিটির উপহার দেওয়া সর্বশেষ ডিজিটাল আদালত পরিচালনার সরঞ্জাম যা আদালতে দক্ষভাবে মামলা পরিচালনা করা এবং জেলা পর্যায়ে বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য ত্রিপুরা রাজ্যের সমস্ত বিচার বিভাগীয় আধিকারিকদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্টল করা হয়েছে। এই JustIS অ্যাপটি একটি নির্দিষ্ট আদালতের স্বতন্ত্র তথ্য প্রদান করে যেখানে বিচার বিভাগীয় আধিকারিক একটি নির্দিষ্ট আদালতের সম্পূর্ণ তথ্যের তথ্য বিশ্লেষণের সাথে কাজ করছেন যেমন মামলার ধরন অনুসারে, বছর অনুসারে, পর্যায় অনুসারে নিষ্পত্তি এবং বিচারাধীন মামলা ইত্যাদি।

  • ১৯. NSTEP মোবাইল অ্যাপ: ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যান্ড ট্র্যাকিং অফ ইলেকট্রনিক প্রসেসেস (NSTEP)হল একটি অ্যান্ড্রয়েড ওএস অ্যাপ যা আদালতের প্রক্রিয়াগুলির পরিষেবা এবং বিতরণের জন্য তৈরী করা হয়েছে। এই অ্যাপটি আদালতের বেইলিফরা প্রসেস সরবরাহের জন্য ব্যবহার করবেন বলে চালু করা হয়েছে। এর জন্য ১১৭টি স্মার্ট ফোন আদালতের সমন এবং বিজ্ঞপ্তি প্রদানের জন্য ত্রিপুরার জেলা ও অধস্তন আদালতগুলির বেইলিফ এবং প্রসেস সার্ভারদেরকে বরাদ্দ করা হয়েছে।

  • ২০. সোলার ফটোভোল্টেক পাওয়ার প্ল্যান্ট: ব্যাটারি ব্যাকআপ সহ সর্বোচ্চ ১০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন অফগ্রিড সৌর ফটোভোল্টেক পাওয়ার প্ল্যান্ট ৭টি আদালত চত্ত্বরে(বিশালগড়, খোয়াই, কৈলাশহর, কাঞ্চনপুর, লংথরাই ভ্যালি, গন্ডাছড়া, সোনামুড়া সিসিগুলিতে) স্থাপন করা হয়েছে এবং বাকি ৯টি সিসিতে স্থাপনের কাজ চলছে।

  • ২১. বিচার বিভাগীয় আধিকারিকদের মধ্যে সরকারি ভাবে যোগাযোগ বিনিময়ের জন্য জি.আই.এম.এস অ্যাপ: জি. আই. এম. এস (গভর্নমেন্ট ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস) অ্যাপটি সমস্ত বিচার বিভাগীয় আধিকারিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে, যাদের ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের ই-কমিটি দ্বারা প্রদত্ত এ.এই.জি মেইল আইডি রয়েছে।

  • ২২. আই. সি. জে. এস-এর বাস্তবায়ন : ত্রিপুরায় আই. সি. জে. এস-এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে আদালত এবং থানাগুলির মধ্যে বৈদ্যুতিন উপায়ে সরাসরি তথ্য বিনিময় শুরু হয় ১৫-০৫-২০২০ সাল হইতে। এখন, জেলা বিচার বিভাগের সমস্ত আদালতগুলি তাদের এখতিয়ারভুক্ত থানাগুলি থেকে ই-এফ. আই. আর এবং ই-চার্জশিট গ্রহণ করছে যা সর্বশেষ সি. আই. এস ৩.২ অ্যাপ্লিকেশনের আই. সি. জে. এস মডিউলের মাধ্যমে সি. সি. টি. এন. এস-এ আপলোড করা হয়।

  • ২৩. জেলা আদালতগুলির সি. আই. এস এন. সি সংস্করণ ৩.২ এর বাস্তবায়ন : জেলা আদালত সি.আই.এস ৩.২ সংস্করণটি লকডাউন চলাকালীন ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে সমস্ত সি.সি-তে বাস্তবায়িত করা হয়েছে।

  • ২৪. ই-ফাইলিং মডিউলের বাস্তবায়নঃ : উচ্চ আদালতের রেজিস্ট্রিতে ই-ফাইলিং মডিউলটি পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে এবং সফল ভাবে পরীক্ষার পর এটি শীঘ্রই কার্য্যকরী হবে। ই-কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী, আইনজীবী ও মামলাকারীদের জন্য ই-ফাইলিং সহায়তা কেন্দ্র কাউন্টারগুলি খুব শীঘ্রই উচ্চ আদালতের রেজিস্ট্রিতে এবং সমস্ত আদালত চত্বরগুলিতে ছয়টিরও বেশি আদালত কক্ষ সহ স্থাপন করা হবে।

  • ২৫. অভ্যন্তরীণ সফ্টওয়্যার এর বিকাশ : অভ্যন্তরীণ সফ্টওয়্যারগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিকাশের ক্ষেত্রে, উচ্চ আদালতের সফ্টওয়্যার বিকাশ কর্মীদল অনলাইন লিভ ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার, জুডিশিয়াল অফিসার্স পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইসল সফ্টওয়্যার, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার ইত্যাদির মতো বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ সফ্টওয়্যার তৈরি করেছে।

  • ২৬. জেলা ও অধস্তন আদালতে এস.এ/ডি.এস.এ : ৬জন ডিস্ট্রিক্ট সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটরস এবং ১৮জন সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটরসকে সি.আই.এস-এর ই-কমিটি কর্তৃক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যারা আদালতে (ডি.সি/টি.সি) কাজ করছেন।

  • ২৭. কম্পিউটারাইজেশনে আদালতের কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি : ই-কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী জেলা বিচার বিভাগের কর্মীদের মধ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ত্রিপুরা জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির অধীনে ২০২০ সালের ৮ই মার্চ এস.এ (সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর)-এর একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

  • ২৮. ই-সেবা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা : ২০২০ সালের ২৩শে ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের রেজিস্ট্রিতে ই-সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। আগরতলা সি.সি, উদয়পুর এবং সোনামুরা সি.সি-তেও ই-সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এগুলির মধ্যে আগরতলা সি.সি-তে ই-সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন ১৩.০৯.২০২১ সালে সম্পন্ন হয়। অন্যান্য আদালত চত্বরে এই পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে।

  • ২৯. সেন্ট্রাল প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর (সি.পি.সি) কার্যালয়ে কারিগরি মানব শক্তি : বিচার বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত তহবিল ব্যবহার করে এবং ই-কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে, ত্রিপুরা উচ্চ আদালত সি.আই.এস-এর পরিধি বিকাশ এবং অভ্যন্তরীণ সফ্টওয়্যার বিকাশের জন্য সেন্ট্রাল প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটরের কার্য্যালয়ে একজন সিনিয়র সফ্টওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ারকে নিযুক্ত করে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এন. আই. সি. এস. আই (ন্যাশনাল ইনফরম্যাটিক্স কর্পোরেশন সার্ভিসেস ইনকর্পোরেটেড)-এর মাধ্যমে চুক্তির ভিত্তিতে এক বছরের জন্য নিযুক্ত করা হয়, যা ই-কমিটি কর্তৃক মেয়াদ বৃদ্ধির সাপেক্ষে।

  • BACK